Hungry to Know

Friday, April 22, 2022

⏩ মনোযোগ দিয়ে আযান শোনা ও আযানের উত্তর দেয়া।

⏩ প্রত্যেক অযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করা -

اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُها

(আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।)

⏩ আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে দু'আ করা।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, "আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু'আ ফিরিয়ে দেয়া হয়না।" (আবু দাউদ ৫২১, তিরমিজি ২১২)

+ দু’আর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা - হতে পারে সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত বা আয়াতুল কুরসির প্রথম লাইন (কিংবা পুরোটা)। এরপর দুরুদে ইবরাহীম।

+ এরপর নিজের মত করে দু'আ। সূরা ইয়াসিনের ৫৮ নং আয়াত যা পাঠ/জিকির করলে জীবনের সকল সমস্যা দূর হয়ে যেতে থাকে -
سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
(সালামুং ক্বাওলাম্ মির্ রাব্বির্ রাহীম)

+ দু'আর মাঝে একটু পর পর "ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু" ও দু'আ ইউনুস পড়া -
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
(লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন)
অর্থ: তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।

+ দু'আ শেষ করার সময় - আল্লাহর প্রশংসা, অতপর দুরূদ এরপর "আমীন"।

⏩ প্রতি ফরজ নামাযের শেষে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ, ৩ বার লা হাউলা ওয়া লা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, ১ বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর” ও ১ বার আয়াতুল কুরসী পড়ে বুকে ফু দেয়া।

এরপর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার ও ১ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর

⏩ রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে -
  • সুরা ফাতিহা ৪ বার,
  • ৪ কুল (সুরা ইখলাস ৩ বার),
  • যে কোনো দরুদ শরীফ ৩ বার,
  • আস্তাগফিরুল্লাহ ১০ বার,
  • কালেমা শাহাদাত ৪ বার,
  • ৩ বার আয়াতুল কুরসী পাঠ।
  • অতঃপর সূরা বাকারা-র শেষ দুই আয়াত।
সূরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করলে একবার কুরআন খতমের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। সূরা বাকারা-র শেষ দুই আয়াতের ফজিলত তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের সমতুল্য!

এরপর ডান কাত হয়ে শুয়ে ঘুমানোর দোয়া ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া’ পড়ে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত জিকির-আসগার।

⏩ তাহাজ্জুদের নামায, সুরা ইখলাস সহযোগে।

⏩ দুই হাতের তালু জোড়া করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে ফুঁ দিবেন। অতঃপর দু’হাতের তালু দিয়ে যতদূর সম্ভব মুখ মন্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে পুরো শরীর মাসেহ করা (৩ বার)।

⏩ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম’ পাঠ করা। এ দুটি বাক্য এমন, যা বলা সহজ কিন্তু আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। গুণাহ মাফের অন্যতম আমল।

এছাড়া গুণাহ মাফের জন্য সাইয়িদুল ইস্তিগফার পাঠ করা।

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’। [105]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।

⏩ কবরের আযাব থেকে রক্ষা পেতে সূরা মূলক পাঠ করা।

⏩ প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা।

⏩ ১৫টি সহজ মুনাজাত 🤲
১) রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবাননার (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২০১)
২) রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইললাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসিরীন। (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ২৩)
৩) রাব্বানা লা তুযিগ কুলূবানা বা'দা ইযহাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ০৮)
৪) রাব্বানাগ ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ইসরা'ফানা ফী আমরিনা ওয়া সাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন। (সুরাঃআল ইমরান, আয়াতঃ১৪৭)
৫) রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আ'ইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা। (সুরাঃফুরকান, আয়াতঃ৭৪)
৬) রাব্বানা আফরিগ্ আলাইনা ছাবরাও ওয়া সাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৫০)
৭) রাব্বিজ আলনী মুকীমাছছালাতি ওয়ামিন যুররিইয়াতী রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দু'আ-ই। (সুরাঃ ইবরাহীম, আয়াতঃ ৪০)
৮) রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু'মিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব। ( সুরাঃইবরাহিম, আয়াতঃ৪১)
৯) রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাআনী ছাগিরাহ। (সুরাঃবনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ২৪)
১০) রাব্বি যিদনী ইলমা। (সুরাঃত্বহা, আয়াতঃ১১৪)
১১) রাব্বিশ রাহলী ছদরী, ওয়া ইয়াসসিরলী আমরী, ওয়াহলুল উক্বদাতাম মিল লিসানী, ইয়াফক্বাহু ক্বওলী। (সুরাঃত্বহা,আয়াতঃ২৫-২৮)
১২) রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ ১২৭)
১৩) রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়ি আতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মা'আল আবরার। ( সুরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯৩)
১৪) রাব্বানা ওয়াজ আলনা মুসলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইয়াতিনা উম্মাতাম মুসলিমাতাল লাকা ওয়া আরিনা মানা সিকানা ওয়াতুব আলাইনা ইন্নাকা আন্তাত তাওয়াবুর রাহীম। (সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ১২৮)
১৫) রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহীম। (সুরাঃহাশর, আয়াতঃ১০)
দ্রষ্টব্য: মোনাজাতের আগে ও পরে দুরদ পাঠ।

⏩ ডেইলি আমল চার্ট
১) ইস্তেগফার -১০০
২) সুবহানাল্লাহ-১০০
৩) আলহামদুলিল্লাহ-১০০
৪) আল্লাহু আকবার-১০০
৫) লা ইলাহা ইলল্লাল্লহ-১০০
৬) "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম" [ফজিলতঃ এটা মিযানের পাল্লাকে ভারী করবে।]
৭) লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম (৫০ বার) [জান্নাতে গাছ রোপণ]
৮) সূরা ইখলাস ১০ বার (অত্যাধিক ফজিলত)
৯) ফজরের নামায পরে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত। (অত্যাধিক ফজিলত)
১০) দরুদঃ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (১০০ বার)
১১) লা ইলাহা ইললালল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া 'আলা কুল্লি শ্যায়ইন ক্বদীর - (১০০ বার) [হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া প্রতিদিন একশত বার পড়বে এ দিন তার চেয়ে আমলে কেউ আর এগিয়ে যেতে পারবে না তবে সে ছাড়া যে এই দোয়া তার থেকেও বেশি পড়েছেন, তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না ইনশাআল্লহ, আল্লাহ তাওফিক দিন]
১২) প্রতিদিন ফজরের পর এবং মাগরীবের পর সায়্যিদুল ইসতিগফার ১ বার করে
(আমিন)