Zahan's Blog

Hungry to Know

Friday, April 22, 2022

⏩ মনোযোগ দিয়ে আযান শোনা ও আযানের উত্তর দেয়া।

⏩ প্রত্যেক অযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করা -

اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُها

(আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারীকালাহু, ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।)

⏩ আযান এবং ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়টুকুতে দু'আ করা।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, "আযান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ের দু'আ ফিরিয়ে দেয়া হয়না।" (আবু দাউদ ৫২১, তিরমিজি ২১২)

+ দু’আর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা - হতে পারে সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াত বা আয়াতুল কুরসির প্রথম লাইন (কিংবা পুরোটা)। এরপর দুরুদে ইবরাহীম।

+ এরপর নিজের মত করে দু'আ। সূরা ইয়াসিনের ৫৮ নং আয়াত যা পাঠ/জিকির করলে জীবনের সকল সমস্যা দূর হয়ে যেতে থাকে -
سَلَامٌ قَوْلًا مِّن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
(সালামুং ক্বাওলাম্ মির্ রাব্বির্ রাহীম)

+ দু'আর মাঝে একটু পর পর "ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু" ও দু'আ ইউনুস পড়া -
لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
(লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বালিমিন)
অর্থ: তুমি ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।

+ দু'আ শেষ করার সময় - আল্লাহর প্রশংসা, অতপর দুরূদ এরপর "আমীন"।

⏩ প্রতি ফরজ নামাযের শেষে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ, ৩ বার লা হাউলা ওয়া লা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহ, ১ বার “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর” ও ১ বার আয়াতুল কুরসী পড়ে বুকে ফু দেয়া।

এরপর ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার ও ১ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু, অহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর

⏩ রাত্রে ঘুমানোর পূর্বে -
  • সুরা ফাতিহা ৪ বার,
  • ৪ কুল (সুরা ইখলাস ৩ বার),
  • যে কোনো দরুদ শরীফ ৩ বার,
  • আস্তাগফিরুল্লাহ ১০ বার,
  • কালেমা শাহাদাত ৪ বার,
  • ৩ বার আয়াতুল কুরসী পাঠ।
  • অতঃপর সূরা বাকারা-র শেষ দুই আয়াত।
সূরা ইখলাস ৩ বার পাঠ করলে একবার কুরআন খতমের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। সূরা বাকারা-র শেষ দুই আয়াতের ফজিলত তাহাজ্জুদ নামায আদায়ের সমতুল্য!

এরপর ডান কাত হয়ে শুয়ে ঘুমানোর দোয়া ‘আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া’ পড়ে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত জিকির-আসগার।

⏩ তাহাজ্জুদের নামায, সুরা ইখলাস সহযোগে।

⏩ দুই হাতের তালু জোড়া করে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে ফুঁ দিবেন। অতঃপর দু’হাতের তালু দিয়ে যতদূর সম্ভব মুখ মন্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে পুরো শরীর মাসেহ করা (৩ বার)।

⏩ সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম’ পাঠ করা। এ দুটি বাক্য এমন, যা বলা সহজ কিন্তু আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। গুণাহ মাফের অন্যতম আমল।

এছাড়া গুণাহ মাফের জন্য সাইয়িদুল ইস্তিগফার পাঠ করা।

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তুমি আমার পালনকর্তা। তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমার দাস। আমি আমার সাধ্যমত তোমার নিকটে দেওয়া অঙ্গীকারে ও প্রতিশ্রুতিতে দৃঢ় আছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট হ’তে তোমার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার উপরে তোমার দেওয়া অনুগ্রহকে স্বীকার করছি এবং আমি আমার গোনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা কর। কেননা তুমি ব্যতীত পাপসমূহ ক্ষমা করার কেউ নেই’। [105]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।

⏩ কবরের আযাব থেকে রক্ষা পেতে সূরা মূলক পাঠ করা।

⏩ প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখা।

⏩ ১৫টি সহজ মুনাজাত 🤲
১) রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবাননার (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২০১)
২) রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইললাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানা কূনান্না মিনাল খাসিরীন। (সুরাঃআরাফ, আয়াতঃ২৩)
৩) রাব্বানা লা তুযিগ কুলূবানা বা'দা ইযহাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান ইন্নাকা আনতাল ওয়াহহাব। (সুরাঃআল-ইমরান, আয়াতঃ০৮)
৪) রাব্বানাগ ফিরলানা যুনূবানা ওয়া ইসরা'ফানা ফী আমরিনা ওয়া সাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন। (সুরাঃআল ইমরান, আয়াতঃ১৪৭)
৫) রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আ'ইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা। (সুরাঃফুরকান, আয়াতঃ৭৪)
৬) রাব্বানা আফরিগ্ আলাইনা ছাবরাও ওয়া সাব্বিত আক্বদা মানা ওয়ানসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরীন। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ২৫০)
৭) রাব্বিজ আলনী মুকীমাছছালাতি ওয়ামিন যুররিইয়াতী রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দু'আ-ই। (সুরাঃ ইবরাহীম, আয়াতঃ ৪০)
৮) রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু'মিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব। ( সুরাঃইবরাহিম, আয়াতঃ৪১)
৯) রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাআনী ছাগিরাহ। (সুরাঃবনী ইসরাঈল, আয়াতঃ ২৪)
১০) রাব্বি যিদনী ইলমা। (সুরাঃত্বহা, আয়াতঃ১১৪)
১১) রাব্বিশ রাহলী ছদরী, ওয়া ইয়াসসিরলী আমরী, ওয়াহলুল উক্বদাতাম মিল লিসানী, ইয়াফক্বাহু ক্বওলী। (সুরাঃত্বহা,আয়াতঃ২৫-২৮)
১২) রাব্বানা তাকাব্বাল মিন্না ইন্নাকা আনতাস সামীউল আলীম। (সুরাঃবাকারা, আয়াতঃ ১২৭)
১৩) রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনূবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়ি আতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মা'আল আবরার। ( সুরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯৩)
১৪) রাব্বানা ওয়াজ আলনা মুসলিমাইনি লাকা ওয়ামিন যুররিইয়াতিনা উম্মাতাম মুসলিমাতাল লাকা ওয়া আরিনা মানা সিকানা ওয়াতুব আলাইনা ইন্নাকা আন্তাত তাওয়াবুর রাহীম। (সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ১২৮)
১৫) রাব্বানা ইন্নাকা রাউফুর রাহীম। (সুরাঃহাশর, আয়াতঃ১০)
দ্রষ্টব্য: মোনাজাতের আগে ও পরে দুরদ পাঠ।

⏩ ডেইলি আমল চার্ট
১) ইস্তেগফার -১০০
২) সুবহানাল্লাহ-১০০
৩) আলহামদুলিল্লাহ-১০০
৪) আল্লাহু আকবার-১০০
৫) লা ইলাহা ইলল্লাল্লহ-১০০
৬) "সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম" [ফজিলতঃ এটা মিযানের পাল্লাকে ভারী করবে।]
৭) লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম (৫০ বার) [জান্নাতে গাছ রোপণ]
৮) সূরা ইখলাস ১০ বার (অত্যাধিক ফজিলত)
৯) ফজরের নামায পরে সূরা ইয়াসিন তিলাওয়াত। (অত্যাধিক ফজিলত)
১০) দরুদঃ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (১০০ বার)
১১) লা ইলাহা ইললালল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া 'আলা কুল্লি শ্যায়ইন ক্বদীর - (১০০ বার) [হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি উক্ত দোয়া প্রতিদিন একশত বার পড়বে এ দিন তার চেয়ে আমলে কেউ আর এগিয়ে যেতে পারবে না তবে সে ছাড়া যে এই দোয়া তার থেকেও বেশি পড়েছেন, তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না ইনশাআল্লহ, আল্লাহ তাওফিক দিন]
১২) প্রতিদিন ফজরের পর এবং মাগরীবের পর সায়্যিদুল ইসতিগফার ১ বার করে
(আমিন)

Sunday, February 27, 2022

সপ্তাহখানেক হলো ল্যাপটপটা হঠাৎই স্লো মনে হচ্ছিলো। এমনকি নিছক কোড এডিটর, লোকালহোস্ট সার্ভার চালাতেও বেগ পেতে হচ্ছিলো। আলসেমি করে দেখা হচ্ছিলোনা কি কারণ। শেষে আজ আর না করলেই না এমন অবস্থা। গরীব মানুষ, পিসি স্লো হয়ে গেলেই তো লাফ দিয়ে গিয়ে আরেকটা তো কিনে আনতে পারবো না, অতএব ঠ্যালা-ধাক্কা দিয়েই যতদূর চালিয়ে নেয়া যায় আর কি!

তো পিসি (PC) স্লো হলে প্রথম সন্দেহটাই যায় ভাইরাস/ম্যালওয়্যারের দিকে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাসটাকে আপডেট করে পিসিটা একবার ফুল স্ক্যান করে নেয়া যেতে পারে। স্ক্যান করে যদি কোন ইস্যু/ওয়ার্নিং দেখায় তবে বুঝে বুঝে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা/অ্যাকশন নেয়া বাঞ্ছনীয়। এছাড়া জাংক ফাইল মুছে ফেলা, অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম আনইন্সটল করে দেয়া, স্টার্টআপ-এ কি কি প্রোগ্রাম লোড হচ্ছে সেগুলো দেখে নেয়া ও সম্ভব হলে কিছু প্রোগ্রাম অকার্যকর করে দেয়া, প্রয়োজনে অন্তত সি (C:\) ড্রাইভটা স্ক্যানডিস্ক ও ডিফ্রাগমেন্ট (অন্তত ডিফ্রাগমেন্ট) করে নেয়া, হার্ডডিস্ক ড্রাইভগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণে ফাঁকা জায়গা আছে কিনা - এসব বিষয়গুলো তো রুটিন চেক-এর মধ্যে পড়ে। তবে আমি জানি এগুলো আমার সমস্যা না।
সন্দেহটা প্রথম থেকেই যার ওপরে ছিল, তাকেই হাতে নাতে পাকড়াও করলাম। ক্রোম ব্রাউজার resource hungry জানতাম, RAM কোৎ কোৎ করে গিলে খায়, তবে পিসি কে এতোখানি তাও আবার দীর্ঘস্থায়ী স্লো করে দিতে পারে অভিজ্ঞতা ছিল না। ব্রাউজারের More Tools -> Task Manager -এ ঢুকে দেখি গাঁদাখানেক টাস্ক মহাআনন্দে মেমরি আর সিপিইউ নিয়ে রীতিমতো ’বালিশ’ কাড়াকাড়ি করছে। ওগুলোকে End Process করে দিতেই শুধু ব্রাউজার না, পুরো সিস্টেমটাই মনে হলো একটা ফোস করে নিঃশ্বাস ছেড়ে হাফ ছেড়ে বাঁচলো।
উৎসব পুরোপুরি খতম করে দিতে এবার একটু উইন্ডোজ-এর Task Manager-এ ঢুঁ মারলাম। যেসব প্রসেসকে ত্যাড়া টাইপের মনে হলো সেগুলো-ও End Task করে দিলাম।
আহ! মনে হচ্ছে এই মাত্র OS সেটআপ দেয়া হয়েছে! এটুকুতেই যা হয়েছে, অন্তত আমার কাছে পরিবর্তনটা বিস্ময়কর! 🤗
আপনিও আমার মতো ক্রোম প্রেমিক (আসলে গুগল প্রেমিক। গুগল যাই-ই করে তাই-ই ভালো লাগে। একেবারে unconditional love) হয়ে থাকলে আরও কিছু সাধারণ টিপস:

  • এক্সটেনশনগুলোর দিকে নজর রাখবেন। অহেতুক অপ্রয়োজনীয় এক্সটেনশন ইন্সটল করার কোনই প্রয়োজন নাই। বাহুল্য কমিয়ে আনুন, জীবন সহজ হয়ে যাবে। জীবন মানে সবসময় ’জি-বাংলা’ নয়।
  • The Great Suspender এক্সটেনশনটা ইন্সটল করে রাখতে পারেন। ভালোই কাজে দেয়।
  • মাঝে মাঝে ব্রাউজার ধোঁয়া-মোছা করুন: chrome://settings/clearBrowserData
  • অ্যাডভান্সড ইউজার হয়ে থাকলে এখানেও ঢুঁ মারতে পারেন: chrome://flags
  • সেটিংস-এর (chrome://settings) Advance-এর ভেতরে System সেকশনে Continue running background apps when Google Chrome is closed আর Use hardware acceleration when available এই দুটো সুইচ-ই বন্ধ করে দিতে পারেন।

Saturday, February 26, 2022


আমার আগে পিছে দুই ভাই-বোন বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ। সারাজীবন তারা সঙ্গীত চর্চার পেছনে সময় দিয়েছে, গানের শিক্ষকের সামনে আদর্শ ও ভালো ছেলে-মেয়ের মতো বসে থেকেছে। কিন্তু আমি মাঝখান থেকে সঙ্গীতের ‘স’ -ও শিখি নাই।ছোটবেলা থেকে বই পড়া আর টুকটাক ছাইপাশ লেখালেখির অভ্যাস ছিল। তবে গানটা গলাধকরণ করতে পারিনি। টিচার আসতো বিকেল বেলা। বিকাল হলো খেলাধুলোর সময়, বাইরে সবাই হৈ-হুল্লোড় করে খেলছে। আমার বড় ভাই সুবোধ বালকের মতো সা রে গা মা করতে থাকলেও আমার মন পড়ে থাকতো বাইরে। সুযোগ পেলেই বাঁশের বাতার বেড়া টপকে পালিয়ে যেতাম খেলার মাঠে। অতএব কিছুদিন চেষ্টা করার পর সবাই হাল ছেড়ে দিলো - একে দিয়ে হবে না। তো সেই বিশিষ্ট সঙ্গীত-অজ্ঞ আমি যখন গান লিখে ফেলি আবার দু’একটা গানে সুরও বসিয়ে ফেলি তখন অবাক হয়ে ভাবি - কিভাবে হলো ব্যাপারটা।

যাইহোক - এটা সম্ভবত আমার তৃতীয় লিরিক যা প্রকাশিত হলো। এর আগের দুটি শারমিন রমা আপু গেয়েছিলেন তার প্রথম ও দ্বিতীয় অ্যালবামে। লিরিকগুলো কোথায় যে আছে খুঁজে পাচ্ছি না। খুঁজে পেলে পোস্ট করব।

শিল্পী: মৌমিতা তাশরিন নদী
মিউজিক: হৃদয় হাসিন, সায়েম রহমান
কথা ও সুর: শাহরিয়ার সেজান
প্রকাশকাল: মার্চ, ২০২০


আয়রে মেঘের দল ছুটে যাই

আয়রে পাখির ঝাঁক উড়ে যাই

    সেই দেশের-ই কাছে

হাত বাড়িয়ে আছে

    মা আমার

হাত বাড়িয়ে আছে।

আয়রে নদীর ঢেউ বয়ে যাই

আয়রে ধানের ক্ষেত দুলে যাই

    সেই দেশের-ই কাছে

হাত বাড়িয়ে আছে

    মা আমার

হাত বাড়িয়ে আছে।


কোথায় গেলে পাবে এমন আকাশের নীল

রাখাল বাঁশি, নকশী কাঁথা, পদ্ম ফোঁটা ঝিল

রাতের আধার ভেসে যায় দূরে জোস্নার বানে

মমতার ছোঁয়ায় স্বপ্ন আসে ঘুম পাড়ানি গানে

    আয়রে কাশের বন দুলে যাই

    আয়রে দিঘীর জল ভেসে যাই

         সেই দেশের-ই কাছে

    হাত বাড়িয়ে আছে

         মা আমার

    হাত বাড়িয়ে আছে।


কোথায় বাজে আর একই সুরে জীবনের জয়গান

সবার তরে সবাই সেথায় যেন একই প্রাণ

এক একটি মুখ এখানে অপার সম্ভাবনা

নতুন দিনের আলো ভেঁজায় সবার আঙিনা

    আয়রে একটা কিছু করে যাই

    আয়রে লাল সবুজে মিশে যাই

         সেই দেশের-ই কাছে

    হাত বাড়িয়ে আছে

         মা আমার

    হাত বাড়িয়ে আছে।

Monday, April 12, 2021

 

সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে থেকে আমি নিজেই নাকি যন্ত্র হয়ে যাচ্ছি। এখন যদি পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে বলি - মানবদেহ আসলে তো একটা যন্ত্রই - তাহলে জনতা রাগান্বিত হবে। আবদুর রহমান বয়াতি বলেছেন - মন আমার দেহ ঘড়ি সন্ধান করি, কোন মিস্ত্ররী বানাইয়াছে...। তাহলে আবদুর রহমান বয়াতিও কি যন্ত্র? কিন্তু কে শুনবে যুক্তির কথা!? এদের কে বোঝাবে কম্পিউটার বিজ্ঞান হচ্ছে আধুনিক বিশ্বের দর্শন শাস্ত্র!


গবেষণা করে পাওয়া গেছে আমাদের চোখের ডাটা ট্রান্সফার রেট কম-বেশি প্রায় ১০ মিলিয়ন বিটস প্রতি সেকেন্ড, অথার্ৎ শুধু ইন্টারনেট কেবলের ভেতর দিয়েই ডাটা ট্রান্সফার হয়না। মানবদেহকে যদি একটি কম্পিউটার বা যন্ত্রের সাথে তুলনা করি তাহলে এর ইনপুট ডিভাইসগুলোর মধ্যে চোখের ব্যবহার অন্যতম। আবার চোখের মাধ্যমে আমরা যে সব সময় যে ডাটা ইনপুট নিয়ে থাকি তা নয়, আমরা কিন্তু আউটপুট-ও দিয়ে থাকি। যেমন রাগ, আনন্দ, প্রেম, ঘৃণা ইত্যাদি অভিব্যক্তিও কিন্তু চোখের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব। লোকে বলে - চোখের ভাষা না বুঝলে নাকি সে প্রেম কোন প্রেমই নয়! অতএব চোখের ডাটা ট্রান্সফার ঠিক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বটে। 💞


কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, আমি আমার চোখ নিয়ে দুঃচিন্তা গ্রস্থ হয়ে পড়ছি। আমার মনে হয় আমার মতো যারা দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা বিভিন্ন ডিভাইস এর সামনে বসে থেকে কাজ করেন তারা প্রত্যেকেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। এবং শুধু কাজের জন্যই নয় এমন কি কাজ ছাড়াও বিনোদনের জন্য আমাদের বাসার ছেলে থেকে বুড়ো সকলেই এখন মোবাইল স্ক্রিনের দিকে নীরবে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকে। একে স্ক্রীন আসক্তি-ও বলছে, যা কোন ড্রাগ অ্যাডিকশনের চেয়ে কম মারাত্মক নয়।


যাইহোক স্ক্রীন আসক্তি নিয়ে অন্য আরেকদিন কথা বলা যাবে। তো এই চোখের যত্নে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে Blue-cut লেন্স। এই লেন্সটি মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার ও এই ধরনের আধুনিক যত ডিভাইস আছে তা থেকে যে ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে তা প্রতিহত করতে পারে।


কেন এই রশ্মি প্রতিহত করা জরুরী? কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে - এসব ডিভাইস থেকে বের হয়ে আসা ক্ষতিকর নীল রশ্মি আমাদের চোখকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং চোখের নানান রোগের জন্ম দিচ্ছে যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, ছানি পড়া ইত্যাদি। আবার শুধু যে চোখ তা নয়, এমনকি এমনও বলা হচ্ছে যে এই রশ্মি ক্যান্সারের মতো রোগও সৃষ্টি করতে পারে।


এসব শুনে আর দশজনের মতো আমিও স্বাভাবিকভাবেই ঘাবড়ে গিয়েছি এবং ইচ্ছে হয়েছিল একটি Blue-cut লেন্স ব্যবহার করার। Blue cut লেন্স এমন ভাবে তৈরি যা ভেদ করে নীল আলো অপরপাশে পৌঁছাতে পারে না। আর নতুন কিছু কেনার সুযোগ পেলে তো মনটা এমনিতেই খুশি খুশি হয়ে যায়। কিন্তু নতুন জিনিস হাতে পেতে ভালো লাগলেও আমার আবার বাজার অ্যালার্জি আছে। তো দোকানীরা যা-তা বোঝানোর আগে নিজেই নেট-এ সার্চ করে একটু জেনে নিই কি ব্যবপার, যেমন - কত টাকা দাম, কোথায় ভালো পাওয়া যায়, ইউজার রিভিও কেমন ইত্যাদি।


তো ইন্টারনেটে নানান লেখা পড়তে পড়তে হঠাৎ সিবিসি নিউজের একটি লিংক এ চোখে পড়ল। রিপোর্টটি দেখে কপালের নিচে থাকা দুই চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল এবং কপালের মধ্যে থাকা তৃতীয় নয়ন খুলে গেল। যা বুঝলাম চোখের যত্নে Blue-cut লেন্সে যতনা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে তারচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে ব্যবসায়িক বুদ্ধি। আসুন দেখি ব্যাপারটা কি!


প্রথমেই জেনে নেই এই লেন্স ব্যবহার না করলে যা যা সমস্যা হতে পারে বলে বলা হচ্ছে সেগুলোর একটা লিস্ট:

  • কম্পিউটার বা ডিজিটাল ডিভাইসগুলির স্ক্রিন থেকে যে নীল রশ্মি বের হচ্ছে সেটি একটি ক্ষতিকর রশ্মি, চোখের ভেতরে ঢুকে তা চোখকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
  • এই নীল রশ্মি আপনার চোখের অবসাদগ্রস্ততার জন্য দায়ী।
  • এটা স্কিন ক্যান্সার তৈরি করতে পারে, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হতে পারে এমনকি চোখের ছানি সমস্যা তৈরি করতে পারে।


তো যেটা বলা হচ্ছে যে বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস থেকে যে রশ্মি হয়ে আসছে তা ছোট ছোট চাকুর মত আমাদের চোখের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে এবং আমাদের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কী ভয়ঙ্কর!


হ্যাঁ, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই আমাদের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমাদের ম্যাকুলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু সেটা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বের হয়ে আসা ক্ষতিকর নীল রশ্মির কারণে হচ্ছে এমন কিছু ডক্টর খুঁজে পাননি। বরং ডক্টর রেটিনা বা ম্যাকুলা ড্যামেজ থেকে বাঁচার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, কিছু ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনকে তিনি গুরুত্বসহকারে নিতে বলেছেন। যেমন ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন এ - এগুলো চোখের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।


এবার আসা যাক অবসাদগ্রস্ততার বিষয়ে। দীর্ঘ সময় কম্পিউটারে তাকিয়ে কাজ করার ফলে আমরা যে চোখের অবসাদগ্রস্ততা বোধ করি এটা আসলে Blue light -এর কারণে নয়, বরং এটা দীর্ঘসময় এবং অপলকে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য। এটার বিপরীতে ২০-২০-২০ নিয়মের কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ ২০ মিনিট পরপর ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকা। এটি করতে পারলে চোখ অনেকটা রেস্ট পাবে, আপনার চোখ ভালো বোধ করবে।


কিন্তু এই কথাগুলো কোন অপটিক্যাল স্টোরের কোন বিক্রয়কর্মী তো বলছেই না, এমনকি বড় বড় কোম্পানির লিফলেট বা মার্কেটিং কনটেন্ট গুলোতেও নানা রকম সায়েন্টিফিক স্টাডির কথা দাবি করে blue-cut লেন্সকে বাজারে প্রতিষ্ঠিত করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং তারা সফল হচ্ছে। ডক্টর এর ভাষ্যমতে কোম্পানিগুলো তাদের কাস্টমারকে মিস লিডিং ইনফর্মেশন দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে তারা তাদের প্রোডাক্ট গুলো বিক্রি করার চেষ্টা করছে।




সিবিসি নিউজ-এর মূল রিপোর্টটাও এখানে যোগ করে দিলাম, ভেতরে বিস্তারিত আছে। আর আমি এতোক্ষণ ইন্টারনেটে সার্চ করে এটা সেটা পড়ে আপাত দৃষ্টিতে আমি যে উপসংহারে পৌঁছাতে পেরেছি তা হলো:

  • দীর্ঘসময় কম্পিউটারে বা যেকোনো ডিভাইসের কাজ করার ক্ষেত্রে ২০-২০-২০ নিয়ম পালন করা।
  • অন্ধকার ঘরে উজ্জল কোন স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থাকা।
  • কম্পিউটার মনিটরের পেছনে কোন লাইট সোর্স / টেবিল ল্যাম্প রাখা যেন স্ক্রিনের চাইতে পেছনের আলোটা উজ্জল হয়।
  • চোখের জন্য উপকারী এমন খাবার গ্রহণ করা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা।
  • কম্পিউটার স্ক্রিনে কাজ করার সময় নাইট লাইট অপশনটি অন করে রাখা।
  • কম্পিউটার স্ক্রিনের লাইট নিয়ন্ত্রণে f.lux সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • পারলে ভালো কোম্পানির মোটামুটি ভালো মানের মোবাইল, ট্যাবলেট, কম্পিউটার মনিটর, ইত্যাদি ব্যবহার করা। 
  • এবং কোন নতুন প্রোডাক্ট কেনার আগে একটু অনলাইনে রিসার্চ করে নেয়া এবং নিজেকে দুটো প্রশ্ন করা
    • জিনিসটি আসলে-ই কাজের কিনা? বিপরীত মতামতগুলো কি?
    • জিনিসটি আসলে-ই আমার প্রয়োজন কিনা?


তো অবস্থা দৃষ্টে যা মনে হচ্ছে - এতোক্ষণ সময় ব্যয় করে শেষ পর্যন্ত আমার নতুন Blue-cut লেন্স-ই আর কেনা হলো না! 😪

© A.S.M. Shahriar Zahan

Photo by Ryutaro Tsukata from Pexels

Sunday, April 11, 2021

 

ট্রেইট নিয়ে কথা বলতে এতো উৎসাহিত হওয়ার কারণ অনেকেই এটাকে লারাভেলের ফিচার মনে করে। কিন্তু এটা মোটেই লারাভেলের ফিচার নয়, বরং এটা পিএইচপি-র ডিজাইন প্যাটার্ন-এরই একটা অংশ। এবার আসেন আমার মতো যারা মুখ্যু-সুখ্যু মানুষ তারা বুঝে দেখি ট্রেইট কি। আর জ্ঞানিরা দূরে থাকুন।

লাভাভেলে কাজ করার সময় একটি সমস্যা থেকে এই লেখাটির অবতারনা। সমস্যাটির বিস্তারিত দেখে নিতে এখানে ক্লিক করুন ও সমস্যা নং-৭ -এ যান

 Trait, কলিশন (collision) ও অ্যালাইসিং(aliasing)

এবার আসুন Trait, Collision ও Aliasing -এর বিস্তারিত:

Trait
প্রথমেই দেখা যাক সোজা ইংরেজিতে ট্রেইট (Trait) মানে কি? ট্রেইট মানে বিশেষ কোন লক্ষণ বা চিহ্ন যেটা দ্বারা কাউকে বা কোন কিছুকে আলাদাভাবে চিহ্নিত বা শনাক্ত করা যায়। যেমন, আমরা বলি - আরে জানিস না, অমুকে তো খুব জেলাস একটা লোক। কিংবা ধরেন তমুক এমন ভাব করে যেন সবজান্তা। কিংবা ধরুন কারও কথা বলায় বিশেষ আঞ্চলিক টান, এই সবগুলো বিশেষ আচরণ বা চিহ্ন যার দ্বারা আমরা ওই অমুক বা তমুককে চিহ্নিত করছি (মানে গীবত করছি আর কি!)। এগুলোই হচ্ছে ওই অমুক বা তমুকের বিশেষ বৈশিষ্ট বা Trait

এখন দেখা যাক পিএইচপি-তে Trait কি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে ইনহেরিটেন্স তো আমরা সবাই বুঝি তাই না? যার কারণে একটা প্যারেন্ট বা বেজ ক্লাসকে এক্সটেন্ড করে আরেকটি চাইল্ড ক্লাস তৈরি হয়। কিন্তু যদি চাইল্ড ক্লাসে আরেকটি বিশেষ সুবিধার বা বৈশিষ্ট বা মেথডের দরকার হয় যা প্যারেন্ট ক্লাসে নেই কিন্তু অন্য কোন একটা ক্লাসে ইতিমধ্যে লেখাই আছে? আমরা হয়তো সেই সুবিধা বা ফাংশনটুকু কপি করে নিয়ে এসে চাইল্ড ক্লাসে বসিয়ে দেবো। কারণ পিএইচপি-তে একই চাইল্ড ক্লাসকে একাধিক বেজ ক্লাস থেকে এক্সটেন্ড করা যায় না। কিন্তু ট্রেইট এই চমৎকার সুবিধাটি করে দিয়েছে। ওই অন্য ক্লাসটিকে যদি ট্রেইট হিসেবে ডিফাইন করা হয় তাহলে খুব সহজেই ওই ট্রেইট এর ভেতরে থাকা কোন ফাংশন/মেথডের কোডকে আমরা চাইল্ড ক্লাসে রি-ইউজ করতে পারি, যা চাইল্ড ক্লাসটি-র একটি বিশেষ বৈশিষ্ট বা special characteristics-এর মতো হয়ে দাঁড়াবে। এভাবে যতখুশি ট্রেইট থেকে যত খুশি বিশেষ characteristics আমরা আমাদের চাইল্ড ক্লাস-এ নিয়ে আসতে পারি।

Collision
এখন কিন্তু খুব খিয়াল কইরা! লক্ষ্য করে দেখুন, ঠিক এই যায়গায় এসে আমরা ট্রেইট কলিশন-এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কিভাবে?.... ভেবে দেখুন দুটি ট্রেইট, যেগুলোকে আমরা চাইল্ড ক্লাসে নিয়ে এসেছি, তাদের ভেতর যদি একই নামের একটি করে মেথড থাকে, তাহলে কি হবে?
হা হা হা!...ঠিক ধরেছেন। হৃদয়ে দোলা দেয়ার মতো এমন কোন সুবিশাল এরর (Error) -এর দেখা মিলবে। এবং এই  এরর-টার কারণ দুটো ট্রেইট, মানে EntrustUserTrait  SoftDeletes ট্রেইট restore নামক একই নাম-এর দুটো আলাদা মেথড নিয়ে নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি (collision) বাঁধিয়ে বসেছে।

Aliasing
তাহলে এবার আমরা এই দুই ট্রেইটের একই নামের দুটো মেথডের সমস্যা সমাধান করার জন্য কি করবো? এটারও খুব সিম্পল রিয়াল লাইফ সমাধান আছে! যেমন ধরুন, একটা শ্রেণীকক্ষে দুটো ছাত্রের নাম একই হয়ে গেলো। এসব ক্ষেত্রে আমাদের শিক্ষক মহোদয় কি করতেন? দুজনকে আলাদাভাবে চেনার ব্যবস্থা করতেন, তাই না? যেমন সাগর(১), সাগর(২)। আর বন্ধুরা তো আরো সরেস। তারা নাম দিত - ঢ্যাঙ্গা সাগর, বাটু সাগর, আরও কত কি, সব নাম জনসমক্ষে বলাও যাবে না। তো ঠিক এই পথটাকেই collision সমস্যার সমাধান করার কাজে লাগানো হয়েছে, আর এটাই হচ্ছে অ্যালাইসিং (aliasing)! EntrustUserTrait -এর restore মেথডকে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে restoreA  SoftDeletes ট্রেইট-এর restore মেথডকে নতুন নাম দেওয়া হয়েছে restoreB। Piece of cake!

এবং আরেকটা দারুণ ব্যপার এখানে উপলব্ধি করার বিষয় আছে। এই যে পুরো কাজটা করা হলো এটা কিন্তু শুধু মাত্র User ক্লাসের জন্যই করা হলো। EntrustUserTrait  SoftDeletes ট্রেইট-এর ভিতরে কিন্ত restore মেথডকে স্পর্শও করা হয়নি। শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষে (বা ক্লাসে) সাগরদ্বয়ের ডাকনাম পরিবর্তন হয়ে গেল সাগর (১) অথবা সাগর (২) হিসেবে, কিন্তু তাদের নিজ নিজ পরিবার-আত্মীয়-স্বজনের কাছে তারা সাগর নামেই পরিচিত থেকে গেলো। বাবা-মা তো আর সাগর(১) কিংবা সাগর(২) বলে ডাকাডাকি করবে না, তাই না?

Simple & Lovely, isn't it? 💘

© A.S.M. Shahriar Zahan | www.zahantech.com


সার্ভার সাইড স্ক্রিপটিং ল্যাংগুয়েজ হিসেবে পিএইচপি (PHP)-র সুনাম-দুর্নাম অনেক কিছুই রয়েছে। সেই ২০০৬-০৭ সাল থেকেই শুনে আসছি পিএইচপি শেষ, পিএইচপি শিখে আর লাভ নাই, পিএইচপি-র আর ভাত নাই। কিছু বছর যায় আবার সেই একই কথা একই হৈচৈ ওঠে। আবার ২০২০-২১ -এ আবার সেই হৈচৈ শুরু হয়েছে।

আমার কথা হলো, যেকোন জনপ্রিয় জিনিস নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা একটু বেশি থাকবে। অনেক দুর্নামের মাঝেও ওয়েব ডেভেলপমেন্টের জগত থেকে পিএইচপি-কে কখনোই একেবারে বাদ করে দেয়া যায়নি, বরং মাঝেমাঝে খারাপ সময় পার করলেও (স্ক্রিপ্টিং) ল্যাংগুয়েজটি বারবার নতুন শক্তিতে জেগে উঠেছে। ওয়েব ডেভেলপমেন্টের দুনিয়ায় অনেক কালজয়ী সিএমএস, ওয়েব সল্যুশন বা অ্যাপলিকেশন পিএইচপি দ্বারা তৈরি। শুধু শেখার জন্য নয়, বরং প্রফেশনাল ও এন্টারপ্রাইজ সল্যুশনও পিএইচপি দিয়ে করা হয় অহরহ।

পিএইচপি-র জনপ্রিয়তার কৃতিত্ব অনেকাংশেই এর ফ্রেমওয়ার্ক গুলোকে দিতে হয়। কেক পিএইচপি, কোড ইগনিটার, জেন্ড অথবা সিম্ফনি পিএইচপির জনপ্রিয় একেকটি ফেমওয়ার্ক। কিন্তু লারাভেল সেই সকল জনপ্রিয়তাকে শুধু ছাড়িয়েই যাচ্ছে না, বরং পিএইচপি-তে কোডিং যে কত মজার ও গোছানো হতে পারে, লারাভেল (laravel.com) ব্যবহার করতে শুরু করলে সেটি কিছুটা বোঝা যায়। আবার লারাভেলকে কঠিন ভাবারও কিছু নেই। সত্যি কথা বলতে কি - লারাভেল আমার শেখা প্রথম কোন পিএইচপি-র ফ্রেমওয়ার্ক। এর আগে হয় Raw PHP ব্যবহার করেছি অথবা ওয়ার্ডপ্রেস-এ কাজ করেছি। 2019 সালেও সেরা ফ্রেমওয়ার্ক নির্বাচিত হয়েছে লারাভেল। আর লারাভেল-এর হাত ধরে পিএইচপি যেন নতুন করে প্রাণ চঞ্চল হয়ে উঠেছে বিশ্ব জুড়ে।

© A.S.M. Shahriar Zahan | www.zahantech.com

[Photo by Pixabay via Pexels.com]

Wednesday, June 17, 2020

বাংলাদেশ আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি। শিল্পীর গানে, কবির কবিতায় এই দেশের সৌন্দর্য্য উঠে এসেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি এদেশের আরেকটা সৌন্দর্য্য রয়েছে। তা হলো বিপদে-আপদে-দুর্যোগে-সংকটে মানুষের জন্য মানুষের এগিয়ে আসা, মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়ানো। ইসলাম ধর্মেও দানশীলতা ও সৎকর্ম গুরুত্বপূর্ণ আমল হিসেবে বিবেচিত। তাছাড়া পৃথিবীর সকল মানবিক ধর্মেই এর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ রয়েছে।

অথচ দেশ বা জাতি হিসেবে আমরা বড় অর্থনীতির শক্তিধর কোন দেশ নই। প্রতিদিন নিজেদেরই কত সমস্যা নিয়ে আমরা চলছি। তবুও এই দরিদ্র দেশটায় মানুষের প্রতি মানুষের মমত্ববোধ ও দেশকে ভালোবাসার শক্তি দেখে আমরা অবাক হই। আর অল্প কিছু মানুষ যারা অমানুষের চেহারায় আবির্ভুত হয়, তারা তো এই বৃহৎ জনগোষ্ঠিকে প্রতিনিধিত্ব করে না।

মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের প্রথম নাগাদ। তখন করোনার সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশেও সাধারণ ছুটির আদলে লকডাউন শুরু হয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মানুষ ভীত-আতংকিত। কর্মহীন এবং ক্ষুধার্ত। হঠাৎ কাজ হারিয়ে দিন-মজুর, শ্রমিক সহ সীমিত আয়ের মানুষেরা দিশেহারা। এদিকে আক্রান্ত মানুষগুলোর কাছেও কেউ যাচ্ছে না, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার করবার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। টেলিভিশন, অনলাইন মিডিয়ায় অনেক মন খারাপ করা খবর চোখে পড়ছিলো।

কিন্তু এর মধ্যেই জনসাধারণই এগিয়ে আসছিলো দুর্গত মানুষের পাশে। যার যা পারে যতটুকু পারে মানুষ মানুষকে সাহায্য করতে শুরু করলো। কেউ খাবার দিয়ে, কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে। এরপর সময়ের সাথে সাথে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে এসেছে ঠিকই, তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে, সাধারণ মানুষের ভেতরই থেকেই শুরুটা হয়েছিলো।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক নিজেরা যার যার বাসায় লকডাউনে ছিলাম। এর ফাঁকেই নিজের সামান্য অবস্থান থেকে যতটুকু করতে পেরেছি, প্রয়োজনের তুলনায় পরিমাণে সেগুলো কিছুই না। এমনই কোন একসময় এই কাজের চিন্তাটা মাথায় আসে। আশেপাশে কোথায় কে কি কাজ করছে সেটা যদি জানা যেত, তাহলে হয়তো আরও বিপদগ্রস্থ মানুষকে সাহায্য করবার একটা উপায় বের করা যেত। এই চিন্তা থেকেই দেশের বিভিন্ন স্বেচ্চাসেবক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের একটি ডাটাবেজ ডেভেলপ করে ফেলার ইচ্ছা ও চেষ্টা। কাজটি করতে করতে আরও কিছু আইডিয়া মাথায় আসায় পরবর্তীতে এটাকে ডেটাবেজের বদলে একটা নেটওয়ার্কের মতো বানানোর চেষ্টা করেছি।

এই ডাটাবেজ বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভালো উদ্যোগগুলোকে তুলে ধরা, ভালো উদ্যোগগুলোকে উৎসাহিত করা, সমন্বিত করার চেষ্টা করা যেতে পারে। উদ্যোগটি ব্যক্তিগত হতে পারে, প্রাতিষ্ঠানিক হতে পারে। সকলের জন্যই এটি উন্মুক্ত থাকবে, এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এখানে নিবন্ধন করে যে কেউ তার ছোট-বড় উদ্যোগটিকে তুলে ধরতে পারেন, এখান থেকে মানুষ আপনাকে খুঁজে নিতে পারে, যার দ্বারা হয়তো কিছু মানুষ উপকৃত হবে।

মূল উদ্দেশ্য:
বাংলাদেশের সকল দানশীল বা স্বেচ্চাসেবীমূলক উদ্যোগসমূহের ডেটাবেজ তৈরি করা। এখানে উল্লেখিত প্রত্যেকটি সেবা অবশ্যই বিনামূল্যে প্রদান করতে হবে।

এছাড়া:
  • প্রতিটি উদ্যোগকে নিজের নেটওয়ার্ক তৈরি করার সুযোগ করে দেয়া।
  • কার্যক্রম পোস্ট করার সুযোগ দেয়া।
  • আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরা।
** আপাতত এটি কোন প্রকার আর্থিক লেনেদেনের প্ল্যাটফরম নয়। অতএব কোন উদ্যোগকে যদি ভালো মনে হয় তবে অনুগ্রহ করে ব্যক্তিগতভাবে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন ও সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে যাচাই-বাছাই করে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। এই অ্যাপলিকেশনটি আপাতত কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন বা ক্রাউডফান্ডিং -এর জন্য নয়।

বর্তমান লাইভ লিংক: CLICK HERE
কুইক ডেমো: CLICK HERE

প্রযুক্তিগত কিছু বিষয়:
শুরুতেই বলে নিই, অ্যাপ্লিকেশনটি বর্তমানে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটিকে প্রাথমিক ডেমো বা কনসেপ্ট ডেভেলপমেন্ট বলা যেতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটাকে ‘প্রথম প্রোটোটাইপ’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি। আপাতত লাইভ টেস্টিং ও বাগ ফিক্সিং-এর উদ্দেশ্যে সার্ভার-এ আপলোড করে দিলাম। খুঁটিনাটি অনেক কাজই এখনো বাঁকি রয়েছে, নিজের করা তালিকাতেই প্রায় ১৫টির মত  'To Do' নোট দেখতে পাচ্ছি, Validation, Translation, Contents, Front-end Improvement, Optimization, ইত্যাদি ইত্যাদি। যাইহোক, সামনের দিনগুলিতে সময়-সুযোগ মত কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। ইচ্ছা রয়েছে আলাদা একটি ডোমেইনে নিয়ে যাওয়ার। ইচ্ছা রয়েছে মোবাইল ভার্সন তৈরি করার। করোনা লকডাউন যত দীর্ঘায়িত হবে ও এর মাঝে যদি মৃত্যুবরণ না করি, কাজটিও তত এগোতে থাকবে ইনশাআল্লাহ!

আর আরও একটি কাজ করে যাব। সেটা হলো নতুন নতুন ফিচার যোগ ও উন্নয়ন। এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারবেন আপনারাই। যদি সত্যিই অ্যাপ্লিকেশনটি আপনাদের কাজে লাগে এবং আপনারা এটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত হন, সেক্ষেত্রে আরও কি কি ফিচার থাকলে আপনাদের সুবিধা হয় সেটি আমাকে জানালে সিস্টেমটি ডেভেলপ করার কাজটি আমি সাধ্যমত চালিয়ে যাব।

একটা ডোমেইন নিতে অবশ্য চেষ্টা করেছিলাম। মানুষের জন্য.নেট (manusherjonno.net) এই ধরণের। কিন্তু ডোমেইনটি অ্যাভেইলেবল নেই। চাইলে আপনাদের কেউ একটি সুন্দর ডোমেইন নাম আমাকে দিতে পারেন। নাম প্রদানকারী হিসেবে আপনার নামটাও সিস্টেমে অবশ্যই উল্লেখ করা থাকবে।

একটি কথা যে, এটি কোটি টাকার কোন প্রজেক্ট নয়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও বিনামুল্যে কাজটি এগিয়ে নিতে চেষ্টা করবো। তবে পাশাপাশি জীবিকার কাজেও হয়তো ব্যস্ত থাকতে হবে। অতএব কখনো কখনো কোন কোন বিষয় একটু দীর্ঘায়িত হয়ে যেতে পারে। অনুগ্রহ করে এই বিলম্বটিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

দুঃখজনক হলেও সত্যি, আমরা ভালো কাজ নিয়ে খুব বেশি কথা বলি না, ভালো কাজকে বেশি হাইলাইট করি না। কেউ ভালো কোন কাজ করতে গেলে প্রথমেই সেটার নাম দিয়ে দেই 'show-off' এবং তারপর যা করি তা হলো সেই কাজটিকে বাধাগ্রস্থ করা।

একদম নিকট একটা উদাহরন দেই। বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আত্মহত্যা করবার পর ফেসবুকে একজন আপুকে দেখলাম ডিপ্রেশনে ভুগছে এমন মানুষদেরকে সাহায্য করতে চাইলেন। বললেন প্রয়োজনে তার সাথে কথা বলতে, মেসেজ দিতে, উনি উনার দৈনন্দিন মূল কাজের পাশাপাশি চেষ্টা করবেন কাউন্সেলিং করে হোক বা কোথায় গেলে সাহায্য পাওয়া যাবে সেগুলো বলে দেয়ার। কিন্তু দু’টো দিন পরেই তার আরেকটি হতাশাগ্রস্থ পোস্ট দেখলাম। মানুষ এতোভাবে তাকে ডিস্টার্ব করেছে যে তার কাজটি করার ইচ্ছা তো উবে গিয়েছেই, এমনকি আর কখনো উপযাচক হয়ে কারও উপকার করতে যাবেন না বলেই মন্তব্য করেছেন। এমন উপলব্ধি অতীতে কয়েকবার ছোট-বড় বিভিন্ন কারণে আমারও হয়েছে। উপযাচক হয়ে উপকার করতে গিয়ে নানান রকম উপাধী-উপমা-সমালোচনা মেনে নিতে হয়েছে, তারপর সেটি থেকে একসময় সরে আসতে হয়েছে। কিন্তু এতে ক্ষতি হবে কাদের? কিছু মানুষের নেতিবাচক আচরণের জন্য অনেক ভালো উদ্যোগই মাঠে মারা যায়, আর বঞ্চিত হয় সেই মানুষগুলো, যাদের সাহায্যটা সত্যিই  খুব প্রয়োজন ছিল।

তবুও কিছু মানুষ চেষ্টা করে। মুক্তিযোদ্ধারা যদি নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে না যেতেন, আমরা কি আজ এই স্বাধীন দেশটা পেতাম? এভাবেই স্রোতের বিপরীতে লড়তে লড়তে কিছু মানুষ সত্যিকারের উদাহরণ তৈরি করে, মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা প্রতিষ্ঠিত করে। অতএব এই কাজটি সেইসব ‘যোদ্ধা’ মানুষদের কথা ভেবেই ছোট্ট একটা সম্মাননা ছাড়া আর কিছুই না।

"একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি...

বর্তমান লাইভ লিংক: CLICK HERE
কুইক ডেমো: CLICK HERE